দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের নতুন পর্বের আপডেট,
সিরিয়ালের শুরুতে আমরা দেখতে পাই আঁখি রুমের ভিতর ধুপ দিচ্ছিল তখন দেবা সামনে চলে আসে দেবা মনে মনে বলে ও আমার সামনে আসলে আমার এমন হয়ে যায় কেন বুকের ভেতরটা এমন করতে থাকে ভুলে যায় তুমি কে। দেবার আর আঁখি দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকে ব্যাকগ্রাউন্ড একটা মিউজিক বাজে। তারপর দেবা হঠাৎ করে বলে এসব করার কি দরকার ছিল। আঁখি বলে কেন আগে তো তুমি এখানে পল্টুদা আর চার আনাকে নিয়ে থাকতে এখন থাকো বউকে নিয়ে। ঘরটা একটু গুছিয়ে না রাখলে কি হয়। তাহলে আর গ্যারেজ আর ঘরের ভিতর পার্থক্য কি থাকলো। তখনই আখির ফোনে ঝিলিকের কল আসে। আঁখি দেবা কে বলে ঝিলিক ফোন করেছে কথা বলবে কিন্তু দেবা কথা বলে না ওখান থেকে চলে যায়। আঁখি ঝিলিকের সঙ্গে কথা বলে। ঝিলিক জানতে চাই দেবার মাথা ঠিক হয়েছে কিনা। আঁখি বলে একটু হয়েছে আরও সময় লাগবে। আখি ঝিলিকের কি অবস্থা জানতে চাইলে ঝিলিক বলে কিছুই ঠিক নেই আঁখি । সেদিন আমাদের শুধু দিবা না গৌরবও দেখে নিয়েছিল। কিন্তু গৌরব তুই গাছের আড়ালে থাকাতে তোকে দেখতে পাইনি আমাকে আর দেবা কে দেখেছে আর ও আমাকে ভুল বুঝেছে। ভেবেছে হয়তোবা দেবার সাথে আমার কোন সম্পর্ক আছে। গৌরব আমাকে ডিভোর্স দিতে চায়। আঁখি বলে এটা কি বলছ তুমি তুমি গৌরবকে সবকিছু বলে দাও। কিন্তু ঝিলিক বলে না এখন বললে ও বুঝতে পারবে না বরঞ্চ আরও সমস্যা হয়ে যাবে বেশি। পরে পি আর কের টার্গেট আমার দিক থেকে সরে তোর দিকে চলে যাবে। আগে পি য়ার কে কে শাস্তি দেবো তারপরে গৌরব কে সবকিছু বলবো।
আঁখি আমি গৌরবকে খুব ভালোবাসি। ওর সাথে সারা জীবন থাকতে চাই তবে এভাবে না। গৌরব কাঞ্জিলাল এর বউ এর ও একটা সম্মান আছে আমি মাথা উঁচু করে থাকতে চাই ওর সাথে। কিন্তু আমার কাছে সব থেকে আগে হলো তোর আর দেবার ভালো থাকা। তার জন্য আগে আমাকে পি য়ার কে কে শাস্তি দিতে হবে।আমাকে এটাও জানতে হবে অনিমেষ রায় কে। অনিমেষ রায় কি তোর বাবা। তাহলে এই পি আর কের কাটাটা উঠে যাবে। ঝিলিক বলে আঁখি তুই যাই হয়ে যাক না কেন দেবা কে কখনো ছেড়ে যাস না। ও মুখে যাই বলুক না কেন আমি তো জানি যে ও তোকে কতটা ভালোবাসে। আঁখি ও তখন ঝিলিক্কে বলে তুমিও কখনো ছাতাবাড়ি থেকে চলে যেও না যাই হোক না কেন। তোমার ছাতা বাড়িতে দরকার না থাকলেও সাতাবাড়ির তোমাকে দরকার। ঝিলিক বলে প্রশ্নই ওঠে না আমি এখন সাতাবাড়িই বউ। যাই হোক না কেন আমি সাঁতা বাড়ি থেকে কোথাও যাবো না। ফোন কেটে দেওয়ার পর আঁখি দেখে দেবার মানিব্যাকে পিয়ার্কের সাথে একটা বাচ্চা ছেলে একটা মহিলার ছবি। আঁখি অনেকটা অবাক হয় দেবার কাছে জানতে চাইলে দেবা বলে এনারা আমার আত্মীয় হয় পি আর কে এদের সাথে অনেক অন্যায় করেছে এদের জন্যই আমার পি আর কের সাথে লড়াই।
কিন্তু আঁখি যেন কিছুতেই কথাটা বিশ্বাস হচ্ছিল না। আঁখি ভাবছিলো দেবা আমার থেকে কিছু একটা লুকাচ্ছে ও আমাকে সত্যি কথা বলেনি। অন্যদিকে আমরা দেখি সাতা বাড়িতে ঝিলিক ওর গয়নার বাক্স গুলো বের করে নিয়ে গৌরবের কাছে দেয়। গৌরব এই গয়নার বাক্স গুলো কি করবো জানতে চাইলে ঝিলিক বলে এই গণনা গুলো বিক্রি করে যেঠি মনির চিকিৎসা করাতে হবে। গৌরব কিছুতেই ঝিলিকের গয়না নিতে রাজি হয় না। কিন্তু ও তো কথা শুনবে না ও গৌরবকে বলে আপনার এই গয়না নিতেই হবে।এদিকে আমরা দেখি আঁখি এবং দেবা গত রাতের মতো আজও নিচে শুয়েছে। আঁখি দেবা কে বলে তুমি নিচে কেন শুয়েসো তুমি উপরে ঘুমাও। দেবা বলে না। তখন আঁখি গিয়ে উপরে ঘুমায়। এদিকে দেবার তো মনে মনে আফসোস হচ্ছিল আর ভাবছিল গত রাতের নিচে ঘুমিয়ে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। তখন আঁখি দেবা কে বলে তুমি এখানে এসে ঘুমাতে পারো আমার কোন সমস্যা নেই। তারপর দেবাও গিয়ে উপরে ঘুমায় কিন্তু মাঝখানে একটা কোলবালিশ দিয়ে।
দেবার এমন কান্ড দেখে আঁখি হাসতে থাকে। এদিকে গৌরব গয়না নেবে না বলে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু ঝিলিকের কিছুতেই ঘুম আসছিল না। ঝিলিক গৌরবের কাছে গিয়ে ওকে কাতুকুতু দিতে থাকে। এমন খুনছুটি করতে করতে ঝিলিক দেবার উপরে পড়ে যায়। তখন আমরা একটা রোমান্টিক দৃশ্য দেখতে পাই একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে ওরা । আর ব্যাকগ্রাউন্ড একটা সুন্দর মিউজিক বাজে। তারপর ঝিলিক গয়নার বাক্স গুলো নিয়ে গৌরবের মাথার কাছে টেবিলে রেখে দেয়। আর গৌরব কে ঘুম থেকে উঠিয়ে বলে আমি সকালবেলা উঠে যদি দেখি গয়নার বাক্স গুলো এখানে নেই তাহলে ভাববো আপনি গয়না গুলো নেবেন আর যদি এখানে থাকে তাহলে ভাববো আপনি গয়না গুলো নেবেন না। এ কথা বলে ঝিলিক ওদের রোমান্টিক সিন গুলোর কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ঝিলিক দেখে এখনো গৌরব ঘুমিয়ে আছে। তারপর ঝিলিক গিয়ে গৌরবকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে।
তারপর গৌরবকে বলে আপনি এমন কেন করছেন আপনি গয়না গুলো নেন। গৌরব বলে পারবোনা। ঝিলিক বলে আপনার কাছে আবদার করবো না তো আর কার কাছে করব। স্বামী-স্ত্রী মানেই তো এক আত্মা দুটো ছড়ি। এমন অনেক স্বামী স্ত্রী আছে যারা মিলেমিশে থাকে। আর আমি তো গয়না গুলো দিতে চাচ্ছি যেঠিমা অসুস্থ জন্য। বাড়ির সবাই আমাদের দুজনের মুখের দিকে চেয়ে বসে আছে। তখন গৌরব মনে মনে ভাবে আখি যখন কিছু কনট্রিবিউট করতে চাচ্ছে তাহলে করুক। গৌরব ঝিলিকে বলে ঠিক আছে আমি গয়না গুলো নেবো। কিন্তু শর্ত আছে আমি গয়নাগুলো বিক্রি করতে পারবো না এগুলো বন্ধক রেখে তারপর টাকা নিব। তখন ঝিলিক গৌরব কে জড়িয়ে ধরে বলে ঠিক আছে তাতেই হবে। তারপর বলে আপনার জন্য একটা রোমান্টিক চা অপেক্ষা করে আছে আপনি একটু ওয়েট করুন আমি এক্ষুনি নিয়ে আসছি তাই বলে ঝিলিক চলে যায়।